জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘কোনও কোনও রাজনীতিক ৩২ নম্বর ভাঙাকে মব বলছেন। কয়দিন পর তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেও মব বলবে। শুধু আওয়ামী লীগের ভোটের আশায় এ সমস্ত কথাবার্তা বলা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী দল হিসেবে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এনসিপি কখনও নির্বাচনবিরোধী দল নয়। আমরাও নির্বাচন চাই। তবে বিচার, সংস্কারসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দাবির প্যাকেজ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না। প্রয়োজনে এসব দাবি বাস্তবায়নে আরেকবার গণঅভ্যুত্থান ঘটানো হবে। যারা এর বিরোধিতা করবে তাদের লাল কার্ড দেখানো হবে।’
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনসিপি যশোর জেলা শাখা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিয়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে পূর্ণাঙ্গ মর্যাদা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যশোরের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা।
সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ ছাড়াও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় নেত্রী নুসরাত তাবাসসুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের আত্মত্যাগকে এখনও যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার দাবিতে বহুবার বলা হলেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
নেতারা তাদের বক্তব্যে আশ্বাস দেন, এনসিপি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করবে এবং শহীদ ও আহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার আওতায় আনতে কাজ করবে।
এ সময় এনসিপি নেতারা সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে যথাযথ স্থান দিতে হবে এবং শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, ‘চলতি বছর বিভিন্ন জেলায় গণশুনানি ও সফরের মাধ্যমে শহীদদের পরিবারগুলোর অবস্থা নথিভুক্ত করা হবে।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর ২টায় যশোর শহরে পদযাত্রা ও যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশে পথসভার কর্মসূচি রয়েছে এনসিপির।