চাঁদপুরে ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলামের বার্তাবাহক’ এমন বক্তব্য সঠিক নয় দাবি করে ধারালো চাপাতি দিয়ে মসজিদের খতিব নূরুর রহমান মাদানীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বিল্লাল হোসেন (৫০) নামের এক মুসল্লি। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) জুমার পরে শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত খতিব মাওলানা নূরুর রহমান মাদানী শহরের গুনরাজদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে প্রায় শুক্রবার খুতবা দেন।
অভিযুক্ত মুসল্লি বিল্লাল হোসেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে এক জুমার খুতবায় তিনি (খতিব) নবী করিম (সা.)-কে ‘ইসলামের বার্তাবাহক’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এই বক্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ হন বিল্লাল হোসেন এবং আজ জুমার পর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। তার চাপাতিতে লেখা ছিল ‘আমার নবীজিকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো’।
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, অনেকেই মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হয়ে যান। খতিব নূরুর রহমান তখনও মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ করেই বিল্লাল হোসেন উগ্র হয়ে ওঠেন এবং তার কাছে মোড়ানো চাপাতি নিয়ে খতিবকে কোপাতে থাকেন। তার চাপাতির আঘাতে মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুর রহমানের কানের গোড়ালি মারাত্মক জখম হয়। পরে মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল বলেন, ‘কানের গোড়ালিতে চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়ায় সেলাই লেগেছে ১২টি।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘আসামিকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’