যশোর শহরের বকুলতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অবশেষে পুরোটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানটিতে নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হবে।
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন জানান, ম্যুরাল ভাঙার পর স্মৃতিসৌধ এলাকায় থাকা প্রাচীর ভেঙে রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যাতে ওই অঞ্চলের যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে যশোর গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। এ প্রকল্পের জন্য ১৪ লাখ টাকার বাজেট নির্ধারিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ছয় ফুট হবে।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের সময় জনতার মুখে মুখে উচ্চারিত উদ্দীপনামূলক স্লোগানগুলোই এ স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন অংশে স্থায়ীভাবে খোদাই করা হবে। এসব স্লোগানের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হবে জনগণের প্রতিবাদ, সাহস ও প্রতিরোধের ভাষা, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে আন্দোলনের শক্তি কতটা যুগান্তকারী হতে পারে। স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ শেষ হলে এটি যশোরবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর যশোরের উত্তেজিত জনতা প্রথমে এই ম্যুরালের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে। পরে সেখানে বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালের কিছু অংশ ভাঙা হয়। এরপর পুরোটা ভেঙে ফেলা হলো।