গাজীপুরের শ্রীপুরে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা সাত মামলার পলাতক আসামি জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুকে (৪০) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী (বৃন্দাবন) গ্রাম থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে নিয়ে আসে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার সমর্থকদের নিয়ে মাথায় গামছা বেঁধে এবং হাতে রামদা নিয়ে প্রকাশ্যে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদার দাবিতে মিছিল করেন। ওই ঘটনার পর তাকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। সকালে দলীয় নেতাকর্মীরা জানায় সাত মামলার পলাতক আসামি পিন্টু বৃন্দাবন এলাকায় আত্মগোপনে আছে। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা এবং নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিই।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি পলাতক থাকা অবস্থায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানায় ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে এমসি বাজারে জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু তার সমর্থকদের নিয়ে মাথায় গামছা বেঁধে এবং হাতে রামদা নিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদার দাবিতে মিছিল করে। পরে বাজারের স্বপ্নপুরী হোটেলের সামনে সমাবেশ করে হ্যান্ডমাইক দিয়ে সকল ব্যবসায়ীকে তার লোকজনদের কাছে চাঁদা দেওয়ার দাবি জানায়।

















