Swadhin News Logo
মঙ্গলবার , ২২ জুলাই ২০২৫ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

বিমান বিধ্বস্তে নিহত দুই শিক্ষার্থীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে আহাজারি

প্রতিবেদক
Nirob
জুলাই ২২, ২০২৫ ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ
বিমান বিধ্বস্তে নিহত দুই শিক্ষার্থীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে আহাজারি

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত দুই শিক্ষার্থীর বাড়ি টাঙ্গাইলে চলছে শোকের মাতম। তাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে জেলার মির্জাপুর ও সখিপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।  

নিহতরা হলো- মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের নগরভাতগ্রাম গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমেদ (১৪)। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপরজন সখিপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন রানার মেয়ে মেহেনাজ আক্তার হুমায়রা (৮)। সে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। তিনি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে রুবেল উত্তরা এলাকায় বসবাস করেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে তানভীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণি ও ছোট ছেলে তাসরীফ হোসেন তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করছিল। সোমবার (২১ জুলাই) সকালে তানভীর তার ছোট ভাই তাসরীফকে নিয়ে স্কুলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হলে তাসরীফ বাসায় চলে যায়। তবে কোচিং থাকায় তানভীর স্কুলে থেকে যায়। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হলে তানভীরসহ কলেজের অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হয়। এ সময় তানভীরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তানভীরের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার চাচা ও চাচি তাদের সন্তানকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তানভীরের মৃত্যু হয়েছে। তানভীরের ছোট ভাই তাসরীফ তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সে স্কুল ছুটি হওয়ায় বাড়িতে চলে গিয়েছিল। তানভীরের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সে লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করছিল। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।’

একই ঘটনায় নিহত হওয়া মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমাইরার গ্রাড়ের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কলেজে শিক্ষকতার সুবাদে তাদের একমাত্র মেয়ে মেহেনাজ আক্তার হুমায়রা মাইলস্টোন স্কুলেই পড়তো। এবার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ছুটি পেলে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে দেলোয়ার গ্রামের বাড়িতে আসতেন। হুমায়রার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।

নিহত হুমায়রার চাচাতো ভাই কাউসার আহমেদ বলেন, ‘মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেকেই ঢাকা গেছেন। বিষয়টি দুুঃখজনক। তার একমাত্র মেয়ে ছিল হুমায়রা। লাশ বাড়িতে আসলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
 
প্রসঙ্গত, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। এতে দগ্ধ হয়েছেন আরও ১৭১ জন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক