জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা বলেছিলাম একটি নতুন বাংলাদেশ লাগবে, একটি নতুন বাংলাদেশের বন্দোবস্ত লাগবে। পুরনো সিস্টেমে পুরনো আইনে আমরা এই বাংলাদেশকে পরিচালিত হতে দেবো না। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরে নানা শক্তি আবারও চেষ্টা করছে পুরনো সিস্টেমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। আমরা তখন বলেছি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমরা যখন রাজপথে নেমেছিলাম, আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে, আমাদের বোনেরা নির্যাতিত হয়েছে, আমরা এই বাংলাদেশকে পুরনো রূপে ফেরত যেতে দেবো না। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই।’
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরিরপাড়ে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ হত্যার দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট একদফায় স্পষ্ট করেছি, আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে। আমাদের যে দমন-পীড়ন করা হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আমাদের লড়াই ছিল ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র, ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে।’
এর আগে, শহরের শহীদ মিনার থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ বের হয়। শহরের কোর্ট রোড ও শাহ মোস্তফা সড়কে পদযাত্রা হয়। এতে যোগ দেন সর্বস্তরের মানুষ।
পথসভায় মৌলভীবাজার জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমন প্রমুখ।
তার আগে, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ, মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ স্লোগান নিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হন তারা। এখান থেকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা আনুষ্ঠানিক জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি উদ্বোধন করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বেরিরপাড় পয়েন্টে এসে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় যোগ দেন।