চাঁদপুরের কচুয়ায় গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে কচুয়া উপজেলার রহিমা নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে পুলিশ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রহিমা নগর বাজারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কচুয়া বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন (মিয়াজী) পক্ষ। সভায় জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন নিজে উপস্থিত থেকে কচুয়া পৌর এলাকায় আরেকটি সভার আয়োজন করেন। এহসানুল হকের কিছু অনুসারী কচুয়া পৌর এলাকায় সভায় আসার সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে রহিমা নগর বাজারে গিয়ে মোশারফ হোসেনের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এ সময় লাঠিপেটায় এহসানুল হকের কয়েকজন অনুসারী আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রহিমা নগর বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্ল্যাহ সেলিম এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তির প্রতিবাদে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে কোনও বিএনপির সমর্থক হামলা করতে পারে না। যারা হামলা করেছে তারা ফ্যাসিবাদের দোসর ও বিএনপির বিপদগামী সমর্থক।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সমর্থিত নেতাকর্মীদের আয়োজনে গণমিছিলটি রহিমা নগর বাজার প্রদক্ষিণকালে ১৫-২০ জনের একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। ওই সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে পুলিশের টহল অব্যাহত আছে।’