নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির অস্থায়ী অফিসের ভাড়ার টাকা চাওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। দোকানঘর ভাড়া নিয়ে অস্থায়ীভাবে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যক্রম চালালেও ভাড়ার টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন ওই এলাকার তালেব আলীর ছেলে ও পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সালমদী বাজারে তার একটি মুদি দোকানসহ চারটি দোকান রয়েছে।
নিহতের ছেলে রাসেল হোসেন জানান, গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারী ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মেম্বার সালমদী বাজারে তার বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়ায় তিনটি দোকান ভাড়া নেন। এর একটি দোকানে বিএনপির কার্যালয় (মাহমুদনগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি) স্থাপন করেন। বাকি দুটি দোকানের ভাড়া পরিশোধ করলেও যে দোকানটিতে বিএনপির কার্যালয় স্থাপন করেছেন সেই ভাড়ার ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করছিলেন না। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন ভাড়া চাইতে বিএনপি কার্যালয়ে তোতা মেম্বারের কাছে যান। ভাড়া চাইলে তোতা মেম্বার টালবাহানা শুরু করেন এবং ওই সময় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তোতা মেম্বার জাহাঙ্গীরকে চড় দেন। এ খবর পেয়ে তোতা মেম্বারের ছেলে খোকন, রাসেল, ভাতিজা সাদ্দাম, আলমসহ আরও কয়েকজন তার বাবাকে বিএনপি কার্যালয়েব ভেতরেই এলোপাতাড়ি মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকে বিএনপি নেতা তোতা মেম্বার ও তার অনুসারীরা আত্মগোপনে চলে যান।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নিহত জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিস বানিয়েছিলেন সুমন অনুসারী তোতা মিয়া। সেই ভাড়ার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরকে মারধর করা হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অপরাধীদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।