সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিরোধপূর্ণ একটি জমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন।
এ ঘটনায় পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে শ্যামনগর উপজেলার রামজীবনপুরের কেয়াতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ পাঁচ জন হলেন- রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল মালেক গাজী (৫০), আরিফুল ইসলাম (১৫), আমিনুল ইসলাম (২৮) ও কেয়াতলা গ্রামের আবু সাঈদ (১৫) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫)।
আর আটক চার জন হলেন- শ্যামনগর উপজেলার কেয়াতলা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২৫) ও আমানুল্লাহ ইমন (২৩) ও দেবহাটার সখিপুর এলাকার মারুফ হোসেন (২২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রামজীবনপুর গ্রামের একজন জানান, রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে শাহাজান ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কেয়াতলার একটি বিরোধীয় সম্পত্তি প্রভাব খাটিয়ে জবর দখলে রেখেছিলেন। তবে ৫ আগস্টের পর উচ্চ আদালতের রায় অনুকূলে থাকার দাবি করে একই এলাকার সোহেল রেজা ফয়েজসহ তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমি দখল করে নেন। একপর্যায়ে শনিবার একটি বাস ও একটি সিএনজিচালিত অটোতে করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শাহাজান ওই জমি দখল করতে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শাহাজানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন গুলি ছুড়লে প্রতিপক্ষের পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন।
সোহেল রেজা ফয়েজের ভাগনে আরিফুল ইসলাম জানান, সমুদয় কাগজপত্র তাদের অনুকূলে। কিন্তু বিগত সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শাহাজান ও তার লোকজন তাদের জমি দখল করে রাখে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের জমি দখলে নেওয়ার পর শনিবার শাহাজান বাসযোগে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে।
পুলিশের হাতে আটক আশরাফুল ইসলাম জানান, তাদের জমি জোরপূর্বক ফয়েজ ও তার লোকজন দখল করে রেখেছিল। শনিবার গোত্রের লোকজন নিয়ে তারা জমি উদ্ধারে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার জনকে আটক করেছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।