চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে মসজিদের নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণে বাধাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান তারা।
এলাকাবাসী জানান, মতলব পৌরসভার চরমুকুন্দি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নিজস্ব জায়গায় মসজিদ সম্প্রসারণ কাজে বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী। মসজিদের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মুন্সী প্রধানীয়া বাড়ির ছয় জনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মতলব দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ মিছিলটি স্থানীয় কড়ই গাছতলা থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন তাদের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরমুকুন্দি প্রধানীয়া বাড়ির বাসিন্দা মতলব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন প্রধান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ আজিজ বাবুল, মোজাম্মেল হক প্রধান, মো. বাদশা প্রধান, মতলব পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মো. শিপন ও মো. মেজবাহ উদ্দিন ওই এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্প্রসারণ ও মসজিদের দখলীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ করে আসছে। মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মসজিদের মূল ভবন সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হয়। পূর্ববিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মসজিদের সম্পত্তি দাবি করে বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের ইন্ধনে মোজাম্মেল হক প্রধান মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া বিবাদীগণকে মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদীগণ তাদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী কবির খান জানান, মসজিদের মূল ভবনের সম্প্রসারণের কাজ মতলব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজ বাবুল বাধা প্রদান করে বন্ধ করে দেন।
মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারা বলেন, মসজিদের সম্পত্তি কারও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। মসজিদের নামে দুই দাগে ১৪ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে।

















