Swadhin News Logo
শুক্রবার , ৮ আগস্ট ২০২৫ | ৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

তেঁতুলিয়ায় কমেছে সারের বরাদ্দ, বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে

প্রতিবেদক
Nirob
আগস্ট ৮, ২০২৫ ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ
তেঁতুলিয়ায় কমেছে সারের বরাদ্দ, বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে

পঞ্চগড়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিগত অর্থবছরের তুলনায় সার বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে। ফলে সারের সংকট দেখা দিয়েছে। চড়া মূল্যে সার কিনতে হচ্ছে চাষিদের। 

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার চাষিরা নতুন করে সার বরাদ্দের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৭, টিএসপি ২৭, ডিএপি ২১ ও এম এওপি ২০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু ডিলার ও খুচরা দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে চাষিদের।

অন্যদিকে, এ বছর প্রায় ১৯১৩ মেট্রিকটন সার কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই উপজেলায়।

চাষিদের লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়ায় ১৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। কফি, লিচু, আম, কমলা, মাল্টা, কাঁঠালসহ অন্য ফলের চাষ হচ্ছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে। বাকি জমিতে আমন, বোরো ধান, গম, পাট, ভুট্টা, মরিচ, আলুসহ নানান শাকসবজি চাষাবাদ হচ্ছে। পর্যটন এলাকা হওয়ায় কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, কফি, লংগান, রামবুটানসহ বিদেশি ফল, ফুল, ওষুধি গাছের বাগানও রয়েছে এই উপজেলায়।

পঞ্চগড় জেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সারের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয় ইউরিয়া ৪৫ হাজার ৯৮২, টিএসপি ১৪ হাজার ৯১৬, ডিএপি ১৭ হাজার ২৪৫ ও এমওপি ২২ হাজার ৫৪৬ মেট্রিক টন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় অতিরিক্ত এক হাজার মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়। এই বরাদ্দের ভিত্তিতে ৫ উপজেলায় সার বিভাজন করা হয়।

এতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে তেঁতুলিয়া উপজেলায় ইউরিয়া ৫ হাজার ৮৮২, টিএসপি ২ হাজার ৭১৬, ডিএপি ৩ হাজার ১০০ ও এমওপি সারের বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন। কিন্তু ২০২৫ -২০২৬ অর্থবছরে ইউরিয়ার বরাদ্দ ঠিক থাকলেও গত অর্থবছরের তুলনায় ৭৭১ মেট্রিক টন কম দিয়ে টিএসপি ১৯৪৫, ডিএপি ৬৬৭ মেট্রিক টন কম দিয়ে ২ হাজার ৪৩৩ ও এমওপি ৪৭৫ মেট্রিক টন কম দিয়ে ২৯৭৫ মেট্রিকটন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

চাষিদের অভিযোগ গত অর্থবছরের তুলনায় সার বরাদ্দের পরিমাণ বেশি হওয়ার কথা থাকলেও এ বছর কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে সার সংকটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমনের ভরা মৌসুমে সার সংকট দেখা দিলে আমন আবাদ ব্যাহত হবে। ফলন কম হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার চাষি মাসুদ করিম জানান, এ অর্থবছরে সার বরাদ্দের পরিমাণ বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে সার ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছে। তেঁতুলিয়া উপজেলা একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। এই এলাকায় সারের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দুঃখজনক।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, আমনের জন্য বরাদ্দ সার চাষিরা চা বাগানসহ অন্য ফসলে ব্যবহার করছেন। চা বাগানের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সার বরাদ্দ দেয় না। এটা দেওয়ার কথা চা বোর্ডের। তাই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌস জানান, আগের মতোই সারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এবার চাহিদা অনুযায়ী বণ্টনও করা হয়েছে। কিন্তু চা সহ বিভিন্ন আবাদের কারণে সারের সংকট দেখা দিতে পারে। এই উপজেলায় আরও সারের প্রয়োজন রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, সার বণ্টনে কোনও সমস্যা নেই। এখন একই চাষি চা বাগান এবং আমন চাষাবাদে সার ব্যবহার করছেন। চা বাগানের জন্য সার বরাদ্দ পাই না। তাই এই সংকট। চা বাগানসহ হিসেব করলে অবশ্যই সারের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। মূলত চা বাগানের জন্য সার বরাদ্দ দেওয়ার কথা শিল্প মন্ত্রণালয়ের। আমরা বার বার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য চা বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনও উদ্যোগ নেয়নি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক