Swadhin News Logo
রবিবার , ১০ আগস্ট ২০২৫ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দরের তিন টার্মিনালে নতুন অপারেটর: বিডা চেয়ারম্যান

প্রতিবেদক
Nirob
আগস্ট ১০, ২০২৫ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দরের তিন টার্মিনালে নতুন অপারেটর: বিডা চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, ‘চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, লালদিয়ার চর ও বে-টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ দিয়ে যেতে চায় সরকার।’ তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা এখনের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।’ 

রবিবার (১০ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং এবং লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আর্ন্তজাতিক দরপত্র করার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের ইচ্ছা আছে এ বছরের শেষ নাগাদ সবগুলো পোর্টের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে এনসিটি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনাল–এ তিনটার ক্ষেত্রেই প্রথম অপারেটরটাকে অ্যাটলিস্ট অ্যাপয়েন্ট করে দিয়ে যাওয়া। নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড, নৌবাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৩০ শতাংশ এবং জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমেছে ১৩ ঘণ্টা। ফলে বন্দর ব্যবহারে দুর্নীতি-হয়রানি আগের চেয়ে কমেছে।’

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘এলসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে বন্দরে আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং সুবিধা, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হবে। অপরদিকে বে-টার্মিনাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিদিনের পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। লালদিয়া উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, এলাকায় নতুন জেটি, উন্নত নৌপথ, কনটেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। লালদিয়ার সম্প্রসারণ সম্পন্ন হলে একসঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক বড় জাহাজ নোঙর করতে পারবে। পণ্য ওঠানামার সময় অর্ধেকে নেমে আসবে।’

সিডিডিএল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মে মাসে যখন এসেছিলাম আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দেশি একজন অপারেটর তো খুব ভালো করেছে, তিনি ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিইইউস করেছেন। কেন খালি খালি অপারেটর চেঞ্জ করতে হবে? এখন তো আমরা চেঞ্জ করে প্রমাণ করে দিলাম। আসলে খুব ভালোটা যে কতটুক এটা নিজেরাই জানি না। আমাদের এটা নির্ধারণ করা নাই এই বন্দর থেকে ম্যাক্সিমাম কতটুকু ভলিয়ুম পাওয়া সম্ভব। রিপোর্ট বলছে বন্দর থেকে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টিইইউস পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব। গত বছর আমাদের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১ দশমিক ৩। সিডিডিএল প্রত্যাশা করছে এটার ওপরে চলে যাবে। টেকনোলজি, বেস্ট প্র্যাকটিস এবং গ্লোবাল প্র্যাকটিস আসলে এটি হয়তো তার চেয়ে ওপরে চলে যাবে।’

ব্রিফিং শেষে চেয়ারম‍্যান বন্দরে সংস্কারকাজ পরিদর্শন এবং ভেহিক্যাল ও কনটেইনার ডিজিটাল একচেঞ্জ সিস্টেম উদ্বোধন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত