সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান চলতে দেখা গেছে। সড়কে ট্রাক আটকে তল্লাশির পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় পাথর লুটের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। তিনি জানান, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাথর লুটের অভিযোগে পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, প্রশাসনের অভিযানে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক ট্রাক তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে ৭০টি ট্রাকে থাকা প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে নদীতে পুনরায় ফেলার প্রক্রিয়া চলছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা জানিয়েছেন, সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনরায় নদীতে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো এবং লুট হওয়া পাথর সাদা পাথরে পুনঃস্থাপনে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।

















