পোষ্য কোটা সুবিধা পুনর্বহাল ও সব বৈষম্য দূর করার দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা ছাড়া কিছু বিভাগের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। এ ছাড়া দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই যুগে যুগে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মূল স্টেকহোল্ডার এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তারা তাদের সেবা প্রদান করেন। আমার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাসহ সবকিছুর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করা ছিল অমানবিক আচরণ। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, এক মাসের মধ্যে পোষ্য কোটা সুবিধা পুনর্বহাল করতে হবে।
উর্দু বিভাগের অধ্যাপক আতোয়ার রহমান বলেন, আমরা নতুন কোনও দাবি নিয়ে সমাবেত হইনি। বরং আমাদের অধিকার পুনরায় চালুর দাবিতে দাঁড়িয়েছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা থেকে সন্তানদের বঞ্চিত করা বৈষম্য ছাড়া কিছু নয়। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যাবো।
ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে আগে যে পোষ্য কোটা ছিল, তা ফিরিয়ে আনতে হবে।
ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।