গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জামায়াত নেতা ও বিকাশ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে (৩২) গলা কেটে হত্যা মামলার মূল আসামি এক কিশোরকে (১৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি ও নিহতের দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোররাতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা শহরের একটি কোচিং সেন্টারের আবাসিক কক্ষ থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বছির উদ্দিনের পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি এবং অপর একটি পুকুর থেকে নজরুল ইসলামের দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মূল আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ওসি জানান, নজরুল ইসলামের দোকানের নিয়মিত কাস্টমার ছিল সে। তার ১১০০ টাকা দোকানে বাকি ছিল। দেড় মাস আগে অভিযুক্ত কিশোরসহ কয়েকজন নজরুলের দোকানে চুরি করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। সেই বিরোধের জের ধরেই গত ১৬ আগস্ট রাতে নজরুল বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোর প্রথমে ক্লোরোফর্ম মেশানো রুমাল দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে, পরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
ওসি আরও জানান, আসামিকে শিশু আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তির জন্য আবেদন করা হবে।
এর আগে, রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামে একটি ধানক্ষেতের পাশ থেকে নজরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নজরুল ইসলাম কানিপাড়া গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাকাই ইউনিয়ন ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই লাল মিয়া বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।