আতংকিত দেশ, কিনে রেখেছি চাল,
মণ কয়েক আটা আর ত্রিশ কেজি ডাল।
মাছ কিনে চটপটে ভরেছি ডিপ ফ্রিজ,
খাবে এবার দু’তিন মাস, পরিবার নিজ।
ভাবছি আরো কিনবো কিছু,করে রাখবো মজুদ
গোয়ালবাড়ি খবর দিয়েছি দিয়ে যাবে দুধ।
তৈল কেনা হয়ে গেছে আগে থেকেই বেশ,
কয়েকমাস খেতে পারবো হবে নাকো শেষ।
লবণের বস্তার সাথে,কিনেছি মশলার গুড়া;
পেয়াজ,রসুন,আদা,কিনে বস্তা এবার ভরা।
সবশেষে কিনে রাখলাম কয়েকশত ডিম,
দুর্দিনে আমি আর খাবো না হিমশিম!
ওষুধপাতি ওর্ডার দিয়ে কিনেছি এতো বেশি!
মনে হয় বাড়ি নয়,যেনো ছোটোখাটো ফার্মেসী।
করোনার হানা শেষে,খাবার যখন থাকবে না;
আমার গৃহে সব আছে,সংকট আমায় পাবেনা।
কিন্তুু ভাই,একটু ফিরে চাই ফেলা আসা কদমে;
কান্নারচোট হাসে,একপেট ক্ষুদা নিয়ে অধমে।
পৃথিবীটা সৃষ্টিকর্তার,নয়তো কারো একার;
বাঁচতে চাই সবাই মোরা,রয়েছে সে অধিকার।
স্রষ্টার কাছে ভেদাভেদ নেই ধনীগরিব সমান
মহামারী ছরিয়ে বিশ্বে,দিয়েছেন তার প্রমান;
তবে ভাই মজুদ করে,একা কেনো বাঁচবো?
প্রতিবেশী দুঃখী ভাই,তার কথাটাও ভাববো।
একা বাঁচার ইচ্ছে নিয়ে,দ্রব্যমুল্য বাড়াচ্ছি;
সব জেনেও নিজ বিবেক,বারবার হারাচ্ছি।
দ্রব্য নতুন তৈরি হবে যদি তারা বাঁচেন,
চিন্তা হোক মহামারীতে স্রষ্টা কেউ আছেন।
একা মজুদ করবো না দ্রব্য,হোকনা যত দামী;
সবাই যদি বাঁচতে পারে,বাঁচবো তবে আমি।
আতংকিত সমাজ নয়,হতে হবে সচেতন”
দ্রব্য কিনতে বিবেকবোধ,করিবো না অচেতন।
অনেক ধন্যবাদ প্রতিবেদক হৃদয় কৃষ্ণ ভাইয়া, এই মহামাড়ীতে কেও যেনো গুজবে বিশ্বাসী হয়ে দেশ ও সমাজে বিশ্রৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এইজন্য আমাদের সচেতনতামুলক কার্যক্রম করে যাওয়া দরকার।