Swadhin News Logo
বুধবার , ২০ আগস্ট ২০২৫ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যভর্তি দুটি কনটেইনার ‘গায়েব’

প্রতিবেদক
Nirob
আগস্ট ২০, ২০২৫ ১২:২২ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যভর্তি দুটি কনটেইনার ‘গায়েব’

চট্টগ্রাম বন্দরে হদিস মিলছে না পণ্যভর্তি দুটি কনটেইনারের। যার মধ্যে দেড় কোটি টাকা মূল্যের কাপড় রয়েছে। নিলামের পর সব ধরনের শুল্ককর পরিশোধ শেষে ডেলিভারি নিতে গেলে কনটেইনার না পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। বন্দরের মতো সংরক্ষিত এলাকা থেকে কীভাবে এ দুটি কনটেইনার গায়েব হয়েছে—তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ২৭ টন ফেব্রিকস কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। নিলামের আগে নির্ধারিত দিনে ইয়ার্ডে কনটেইনারে পণ্যও পরিদর্শন করেন। এরপর পণ্য ডেলিভারি নিতে মূল্য, শুল্ককর ও বন্দরের চার্জসহ ১ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অথচ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের সংশ্লিষ্ট ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজি শেষে জানানো হয় কনটেইনারটি পাওয়া যাচ্ছে না। ছয় মাস চলে গেলেও সেই কনটেইনারের হদিস নেই। একইভাবে সম্প্রতি নিলামে বিক্রি করা ৪২ লাখ টাকার কাপড়সহ আরেকটি কনটেইনারের এক মাস ধরে খোঁজ মিলছে না। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিলামে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।

এ প্রসঙ্গে শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমি বিড পেয়েছি। সেই মোতাবেক সব অর্থ পরিশোধ করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারি নিতে যাই। ওই দিন দিনভর খোঁজাখুঁজির পরও সেই কনটেইনারের হদিস দিতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, গত ছয় মাসে কাস্টমস কমিশনার বরাবরে তিনটি চিঠি দিয়েছি। বর্তমানে আমি মালামালও পাচ্ছি না, টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও দৃশ্যমান উদ্যোগও আমি দেখছি না।’

এ প্রসঙ্গে কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. সাকিব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিলামে অংশ নিয়ে বিড পাওয়ার পর কনটেইনার পাওয়া যাচ্ছে না—এ ধরনের দুটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এ ধরনের বিষয়ে প্রথমে বন্দরকে চিঠি দিয়ে আমরা জানতে চাই মালামাল পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমরা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রসেসে যাই।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘হ্যান্ডলিংয়ের সময় যে কনটেইনারটি যেখানে থাকার কথা হয়তো সেখানে নেই। বন্দরে ৪৮ থেকে ৪৯ হাজার কনটেইনার আছে। হয়তো এ কনটেইনারটি কোথাও আছে। খোঁজা হচ্ছে। বন্দর থেকে কনটেইনার মিসিং হওয়ার সুযোগ নেই।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত