খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা ইসলামিয়া কলেজ রোডসংলগ্ন সিরাজুল ইসলাম জামে মসজিদের পাশে এক ভাড়া বাসায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত গৃহবধূর নাম চাঁদনী (২৫)। তার স্বামী মাসুদ (৩০)।
নিহতের ছোট ভাই হৃদয় জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুলাভাই মাসুদ ও বোন চাঁদনীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। একপর্যায়ে মাসুদ কিল-ঘুষি মেরে চাঁদনীকে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে শ্বশুর ও দেবর মিলে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৮টা ৪৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরপরই নিহতের শ্বশুর হাসপাতালে থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। বর্তমানে চাঁদনীর মরদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজমিস্ত্রি মাসুদ ও তার স্ত্রী চাঁদনী ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের সংসারে প্রায়ই কলহ হতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় ঝগড়ার একপর্যায়ে মাসুদ স্ত্রীকে কিল-ঘুষি মারলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, ‘চাঁদনীর ভাইয়ের কাছ থেকে স্বামী মাসুদ কয়েকদিন আগে ২০০ টাকা ধার নিয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পাওনা টাকা চাইতে মাসুদ ও চাঁদনী দম্পতির বাড়িতে যায় হৃদয়। টাকা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাসুদ হাত দিয়ে তার স্ত্রীর ডান চোয়ালে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁদনীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুদ পলাতক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

















