শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর ব্যাপক সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দুই ঘণ্টা পর সংশোধনী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের (ভারপ্রাপ্ত) সই করা নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশের সংশোধনী হিসেবে আদেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির মাধ্যমে শতভাগ পরীক্ষার্থী উপস্থিতি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে চলমান পরীক্ষা দেওয়া যাবে।
তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় বসতে চাচ্ছেন না। রিদুয়ানুল হক নামে চবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শনিবার রাতে এবং রবিবার দিনে যে ন্যাক্কারজনক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এখনও অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় ক্লাস-পরীক্ষায় বসা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় বাসার দারোয়ান কর্তৃক এক ছাত্রীকে হেনস্তার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে চবি সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষ চলে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

















