Swadhin News Logo
সোমবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. আন্তর্জাতিক
  3. কৃষি ও প্রকৃতি
  4. ক্যাম্পাস
  5. খেলাধুলা
  6. চাকরি
  7. জাতীয়
  8. জোকস
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. ধর্ম
  12. নারী ও শিশু
  13. প্রবাস
  14. বই থেকে
  15. বিচিত্র নিউজ

সংঘর্ষের পর চবি ক্যাম্পাস থমথমে, সুষ্ঠু বিচার দাবি

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ ১০:৫০ অপরাহ্ণ
সংঘর্ষের পর চবি ক্যাম্পাস থমথমে, সুষ্ঠু বিচার দাবি

সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে কোনও ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। মোতায়েন আছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। তারপরও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনও মামলা হয়নি। এমনকি এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতারও হয়নি।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হাটহাজারী জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝেও ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকটাই পুরুষশূন্য এ গ্রাম। জোবরা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আবছার অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার সময় চবির শিক্ষার্থীরা জোবরা গ্রামে ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করেছে। দোকান থেকে জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।’ এমনকি গোয়ালঘর থেকেও কয়েকটি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে ভাড়াটিয়া ছাত্রীর সঙ্গে ভবনের দারোয়ানের মধ্যে। ছাত্রীকে প্রথমে থাপ্পড় মেরেছে বলা হলেও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ছাত্রী রাত করে ভবনে আসার পর দারোয়ানকে না পেয়ে চিৎকার করে। তখন হয়তো দারোয়ান ঘুমিয়ে ছিলেন। দরজা খুলতে দেরি হওয়ার কারণে ওই ছাত্রী দারোয়ানের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটিতে জড়ায়, পরে চড় মেরে দেয়। তখন হয়তো দারোয়ান এর প্রতিবাদ করেছিল। গ্রামবাসী কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদের মারতে যায়নি। ছাত্ররাই গ্রামে ঢুকে লোকজনকে মেরেছে।’

তবে চবি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রী ক্যাম্পাসে ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি ওই ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল মারা শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল বলেন, ‘চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। কেউ গ্রেফতার কিংবা আটক নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে চবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করা হবে। এজন্য পাঁচ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি চিকিৎসা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় বাসার দারোয়ান কর্তৃক এক ছাত্রীকে হেনস্তার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে চবি সংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষ চলে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রবিবার দুপুর ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক