জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘এনসিপি হলো ইনসাফের পক্ষের রাজনৈতিক দল। আপনি যদি ইনসাফের পক্ষে থাকেন, তাহলে ধরে নেবো আপনি এনসিপির পক্ষের লোক। এসসিপি করে বেইনসাফি কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। এনসিপির নেতা হয়ে বেইনসাফি কাজ করবে, আবার প্রোগ্রামে হাজার হাজার লোক নিয়ে আসবে, সেটা আমাদের দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে রাজনীতি করা উচিত, সেভাবেই রাজনীতি করবো আমরা। কোনও হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি এনসিপিতে চলবে না। ১০টা, ২০টা, ৫০টা হোন্ডা নিয়ে এসে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হতো। বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে যার পেছনে যত বেশি হোন্ডা আর গুন্ডা সে তত বড় নেতা। কিন্তু নেতৃত্ব ব্যাপারটা কি এমন হওয়ার কথা ছিল? হোন্ডা-গুন্ডা দিয়ে নেতৃত্ব বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। নেতার গুণাবলি থেকে নেতৃত্ব তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে জনগণের পাশে থাকতে এমপি-চেয়ারম্যান-মেম্বার হওয়ার দরকার নেই।’
রবিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বড়কামতা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামে এনসিপি আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সত্যের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিটি গ্রাম-মহল্লা ইউনিয়নভিত্তিক সবাইকে এক হয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। অবিচার-অনাচারের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এনসিপি সর্বদা সত্যের পক্ষে আছে। আপনারা সত্যের পথে থাকলে, ন্যায়ের পথে থাকলে আমি হাসনাত আবদুল্লাহ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবো।’
জনগণের পাশে থাকতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার দরকার হয় না উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘জনগণের পাশে থাকতে এমপি, চেয়ারম্যান বা মেম্বার হওয়ার দরকার নেই। সত্য কথা বলতে, জনগণের পাশে থাকতে আপনি ভালো মানুষ হলেই যথেষ্ট। আমরা চাই আপনারা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকেন। সত্য বলার জন্য রাজনৈতিক শেল্টারের প্রয়োজন নেই। তবে সত্য বলার পর আপনাকে যদি কেউ বাধা দেয়, কেউ যদি জুলুম করে—তবে আমি আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াবো।’
দেবীদ্বার উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী জামাল মোহাম্মদ কবিরের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. আরমান হোসাইন। এ সময় বক্তব্য দেন শিক্ষকসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।