গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ এবং হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬৪,৭৫৬ জনে। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১,৬৪,০৫৯ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, হতাহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশুও রয়েছে, এবং মানবিক পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলের টানা বিমান হামলা ও জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়ার হুমকির মধ্যেও গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে এখনো ১৩ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৩.৫ লাখ শিশু রয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়ার তথ্যমতে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হুমকি দিয়েছে যে, এই দফায় উত্তর গাজা ছেড়ে যাওয়া লোকজনকে ভবিষ্যতে আর ফিরে আসতে দেয়া হবে না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে স্থায়ী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে।
এছাড়া তথাকথিত ‘নিরাপদ মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে যেসব মানুষকে খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী ৮০০,০০০-এর বেশি লোককে ঠেলে দিয়েছে। অথচ সেই অঞ্চলগুলোতে ১০০ বারেরও বেশি বোমা হামলা চালানো হয়েছে, যাতে ২,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
মিডিয়া অফিস আরও জানায়, এসব তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চলে কোনো কার্যকর অবকাঠামো, চিকিৎসা সুবিধা, পানি বা বিদ্যুৎ নেই। তারা অভিযোগ করে যে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে খান ইউনিসের পানির সংযোগ কেটে দিয়েছে, যাতে মানুষের জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সূত্র: আল জাজিরা।
/এআই