রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ছাত্র সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গণনা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে এ কথা জানান রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা নিয়ে তারা কী রকম সমস্যায় পড়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। ছাত্রদলসহ দুটি সংগঠন ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবি জানালেও তা সম্ভব নয়। কারণ রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। হাতে গণনা করলে নির্বাচনের ফলাফল পেতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই ওএমআর শিটে ভোটগ্রহণ হবে এবং ফল গণনা করা হবে ওএমআর মেশিনে।’
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবিসহ ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্যানেল ঘোষণার সময় একই দাবি জানিয়েছিল রাবি শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার ফলে দুই দিনেও রেজাল্ট হয়নি ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। রাবিতে ৩০ হাজার ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করা হলে বিশৃঙ্খলা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে দেখেছি ইভিএমের মাধ্যমে কীভাবে ভোট কারচুপি করা হয়, রাকসুতেও এমন হতে পারে। এ ছাড়া ইভিএমে ক্যারিক্যাচার করার মাধ্যমে ভোট কারচুপি হতে পারে। আমরা চাই প্রশাসন বেশি জনবল নিয়োগ করে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করুক।
এ সময় ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবীর বলেছিলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই, দীর্ঘদিন পর যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে, তাই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। আমরা স্বচ্ছ ভোট বাক্স স্থাপন, ম্যানুয়ালি ভোট গণনাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এই ১২ দফা দাবি জানিয়েছি। ডাকসু ও জাকসুতে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। আমরা চাই না রাকসুতে এই বিতর্ক হোক। ভোটার সংখ্যা বেশি হলে আপনারা জনবল বাড়িয়ে ভোট গণনা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কি জনবলের অভাব?
উল্লেখ্য, এবার রাকসুতে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ রাকসুতে ২৪৮ জন ও সিনেটে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া হল সংসদে ৬০০ জন প্রার্থী রয়েছেন।