লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনকে তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী বাবা-মায়ের কবরে শায়িত করা হয়েছে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশবাহী গাড়ি পৌঁছায় কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে। সেখানে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মা-বাবার কবরে দাফন করা হয়।
জানাজায় অংশ নেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, ফরিদা পারভীনের স্বামী গাজী আব্দুল হাকিম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকনুউজজামানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এর আগে ফুল দিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন (৭১)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া এই বরেণ্য শিল্পী গানে গানে ৫৫ বছর কাটিয়েছেন। স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন।
রবিবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়িতে করে শিল্পীর মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয়। তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে শায়িত করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাদ মাগরিব তাকে দাফনের কথা ছিল। কিন্তু লাশবাহী গাড়ি কুষ্টিয়ায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বাদ এশা পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে বিকালের মধ্যেই কবর প্রস্তুত করা হয়।
প্রসঙ্গত, লালনগীতিতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। এর বাইরে ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন।