বগুড়ায় পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার করা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণে অননুমোদিত টেক্সটাইল রঙ ব্যবহার করে মানুষের খাবার অনুপযোগী বিট লবণ তৈরির অভিযোগে কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ৬০ বস্তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ায় ব্রিজসংলগ্ন কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি জানান, বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে খাবার অযোগ্য বিট লবণ বিক্রি হতো। এ লবণ কোথা থেকে আসে তা অনুসন্ধান করতেই তারা বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ায় ব্রিজ এলাকায় বিট লবণ তৈরির কারখানার সন্ধান পান। কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে এ কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বগুড়া জেলা কার্যালয় ও জেলা টাস্কফোর্স কমিটি শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকায় মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় ওই কারখানায় দেখা যায়, পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহার করা লবণ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণে অননুমোদিত টেক্সটাইল রঙ ব্যবহার করে মানুষের খাবার অনুপযোগী বিট লবণ তৈরি করা হচ্ছে। এ লবণ মানবদেহের জন্য একেবারেই অস্বাস্থ্যকর ও বিষের সমতুল্য। এ সময় কারখানা থেকে ৬০ বস্তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ জব্দ করে তা প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া খাবার অযোগ্য লবণে রঙ মিশিয়ে বিট লবণ তৈরি ও তা বাজারজাত করায় কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে এসব লবণ কিনে মেশিনে গুঁড়ো করে ২৫ টাকা কেজি দরে বিট লবণ হিসেবে বিক্রি করা হতো। অভিযানে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ফৌজিয়া ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।