Swadhin News Logo
রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

অর্থের অভাবে ঝুঁকিতে কক্সবাজার পর্যটক সুরক্ষা, বন্ধের পথে লাইফগার্ড সেবা

প্রতিবেদক
Ahsan Habib
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
অর্থের অভাবে ঝুঁকিতে কক্সবাজার পর্যটক সুরক্ষা, বন্ধের পথে লাইফগার্ড সেবা

বেলাভূমিসহ সকল পর্যটন অনুষঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু গোসলে ভেসে যাওয়াদের উদ্ধারে কাজ করা লাইফগার্ডরা বেসরকারি অর্থায়নে সেবা দিয়ে আসছিল জানা ছিল না।

সি-সেইফ লাইফগার্ড সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,, বিকশিত পর্যটনকে সমৃদ্ধ করতে সৈকতে গোসলকালীন পর্যটক নিরাপত্তায় লাইফগার্ড সেবা সচল রাখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসন বা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধানে নেওয়া দরকার। নতুবা ধীরে ধীরে নিজস্ব স্বকীয়তা হারাবে কক্সবাজারের পর্যটন।

সি-সেইফ লাইফগার্ড সংস্থার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, তহবিল সংকটে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সি-সেইফ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের তৎপরতায় দাতা সংস্থা প্রকল্পের মেয়াদ গত জুন পর্যন্ত ছয় মাস বাড়ায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও তিন মাস বাড়ানো হয়। অর্থের যোগান না হওয়ায় চলতি সেপ্টেম্বরেই লাইফগার্ড সেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে ২৭ জন লাইফগার্ড কর্মীসহ ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা হিসেবে মাসে গড়ে ১৪ লাখ টাকা যোগান দিত সংস্থাটি। বছরে লাগত দেড় কোটি টাকার মতো।

গত ২৮ আগস্ট কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সন্ধ্যায় পর্যটনের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে বন্ধের পথে থাকা সৈকতের লাইফগার্ড ইস্যুটি আলোচনা হয়। কিন্তু সরকারি অর্থায়নের যোগানের পরিবর্তে বিষয়টি নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে করণীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়ে যান তিনি। কিন্তু এরপর আর কোনো বৈঠক হয়নি। সিদ্ধান্ত না এলেও কার্যক্রম বন্ধের দিনক্ষণ দ্রুতই এগিয়ে আসছে।

লাইফগার্ড হিসেবে সেবা দেওয়া নাইক্ষ্যংছড়ির জয়নাল আবেদীন বলেন, লাইফগার্ডের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর থেকে গত এক যুগ এটা করেই সংসার চালিয়েছি। সমুদ্রে কোনো পর্যটক ভেসে গেলে আমরা ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচাই, এখন আমাদের জীবনটাই ঝুঁকিতে পড়ে গেলো। দীর্ঘ এ সময়ে ১০ মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি একাই ৯৮ পর্যটকের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি। এখন আমাদের বাঁচানোর কেউ নেই। হঠাৎ অন্য পেশায় থিতু হতেও সময় লাগবে, লাইফগার্ডের প্রশিক্ষণ নিয়ে সেটা কাজে লাগাতে না পারলে খারাপই লাগবে।

আরেক লাইফগার্ড কর্মী বান্দরবানের লামার আকরাম ত্রিপুরা বলেন, গত প্রায় একযুগ লাইফগার্ড হিসেবে সৈকতে সেবা দিচ্ছি। ২০ হাজার টাকা বেতনে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শহরের লাইটহাউসে ভাড়া বাসায় থেকে সংসার টানতে হিমশিম খেতাম। চাকরিহীন আগামী মাস থেকে কীভাবে সংসার চালাবো ভেবে পাচ্ছি না।

বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির তত্ত্বাবধায়ক ও এডিএম মো. শাহিদুল আলম বলেন, তহবিল সংকটের কারণে লাইফগার্ড সেবা সেপ্টেম্বরে বন্ধ হওয়ার বিষয়টি পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হলো, সৈকত এলাকার হোটেলগুলোর মাধ্যমে লাইফগার্ড সেবা চালু রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সৈকত এলাকার তারকা হোটেলগুলো তিনজন এবং ছোট হোটেলগুলোকে একজন করে লাইফগার্ডের বেতন পরিশোধ করতে হবে। হোটেল ব্যবস্থাপনার নীতিমালায় লাইফগার্ড পরিচালনার বিষয়টি উল্লেখ আছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বর্তমান লাইফগার্ডদের অগ্রাধিকার দেওয়া যায়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক