মানিকগঞ্জ করেসপনডেন্ট:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিজ বাসা থেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় রাশিদা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বাইলজুড়ি গ্রামে নিজ বসত ঘর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) কহিনূর ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর রাশিদা বেগম উপজেলার বাইলজুড়ি গ্রামে একাই বসবাস করতেন। গতকাল দিনের বেলা তার এক ভাস্তি ও নাতি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়ার পর তারা পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিলেন।
তাদের দাবি, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত ওই বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় দুজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর পাশের রুমে রাশিদা বেগমকে হত্যা করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয় ডাকাত দল। তারা চলে যাওয়ার পর নিজেরাই হাত ও মুখের বাঁধন খুলে পাশের রুমে গিয়ে রাশিদার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে ঘটনা জানান তারা। পরে খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পরিবারের দাবি, ডাকাতরা তাকে হত্যা করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনা রহস্যজনক।
ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) কহিনূর ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ডাকাতি না পরিকল্পিত তা তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাস্তি ও নাতিকে থানায় আনা হয়েছে। জানা গেছে, নিহত রাশিদা বেগমের প্রায় ৩০ বছর আগে স্বামী নকুমুদ্দিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি জীবিকার তাগিদে জর্ডানে পাড়ি জমান। প্রায় ১০ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার একমাত্র কন্যা বর্তমানে জর্ডানে অবস্থান করছেন।
/এএইচএম