রাজশাহী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৩৬ ঘণ্টা পর বাস চলাচল শুরু হয়েছে। মালিকরা শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
এর আগে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর টানা ৩৯ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল শ্রমিকরা। সে সময় মালিকদের বেতন বাড়ানোর আশ্বাসে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বজলুর রহমান রতন। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুপুর ৩টার দিকে ঢাকায় বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে অন্য অপারেটরের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের কথা শোনা হয়েছে। শ্রমিকরা একতা ট্রান্সপোর্টের মতো বেতন-ভাতা দাবি করেছিল তা মানা হয়েছে। এখন প্রতিটি চালক ১৭৫০ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়াও সুপারভাইজার ও হেলপারের বেতন বাড়ানো হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়ার পর থেকে রাজশাহী থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার ভোর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলস, হানিফ, হানিফ কেটিসি পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময়ে শুধুমাত্র চলাচল করছিল একতা ট্রান্সপোর্ট।
এর আগে শ্রমিকরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে একজন চালককে পারিশ্রমিক হিসেবে এক হাজার ৩৫০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫৭০ ও হেলপারকে ৫৩০ টাকা দেওয়া হয়। গত ১৫ বছরে একতা ছাড়া অন্য পরিবহনের শ্রমিকদের কোনও পারিশ্রমিক বাড়েনি। তাই পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিতে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বাস চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা। তখন তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হলেও পরে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।