যশোর করেসপনডেন্ট:
যশোর সদর উপজেলার রাজারহাটে পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে এক কনস্টেবলসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালতে তোলা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভূইয়া। এর আগে, সোমবার রাতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল রায়হানুল হক সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলার আবুরী গ্রামের মল্লিকপাড়ার আয়ুব আলীর ছেলে।
অন্যান্য গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কাঠিয়া গ্রামের প্রয়াত জানকিনাথ সরকারের ছেলে গৌরাঙ্গ সরকার, ইটাগাছা গ্রামের ঘোষপাড়ার গনেশ মজুমদারের ছেলে বিকাশ মজুমদার বাবু এবং উত্তর পলাশপোল গ্রামের আনিচুর রহমানের ছেলে মাহিন রহমান শাওন।
ডিবির ওসি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিচয়ে রাজারহাট থেকে সাতক্ষীরার জুয়েলারি ব্যবসায়ী সুধীর কুমার দাসের ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও যশোর থেকে চারজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা কয়েকজনের নাম জানান। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ কনস্টেবল রায়হানুলসহ চারজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, স্বর্ণ ডাকাতির সঙ্গে পুলিশের আরও একজন সদস্য জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, গ্রেফতারদের মধ্যে বিকাশ মজুমদার স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত অন্যরা জানতে পারেন, সুধীর কুমার যশোরে সোনা আনতে যাচ্ছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে যশোর থেকে সাতক্ষীরায় ফেরার পথে তাকে আটক করে ১৯ ভরি সোনার গহনা লুট করা হয়।
/এমএইচ