ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তার কক্ষে চেয়ারে বসে রোগী ভর্তি নেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে সিকিউরিটি গার্ড তামিম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) চিকিৎসক মো. মাইন উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘একজন সিকিউরিটি গার্ড কখনই এ ধরনের কাজ করতে পারে না। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই সিকিউরিটি গার্ডকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সেইসঙ্গে জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দুজন করে চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করবেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে এ ধরনের ঘটনা আর কখনও ঘটবে না।’
এর আগে সোমবার বিকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তার কক্ষে চেয়ারে বসে রোগী ভর্তি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই সিকিউরিটি গার্ডের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। ভিডিওতে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তার কক্ষে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে চেয়ারে বসে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিকিউরিটি গার্ড তামিম হোসেন রোগী ভর্তি নিচ্ছেন। তবে ঘটনার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমারজেন্সি মেডিক্যাল কর্মকর্তা নিশাত সেখানে ছিলেন না।
দৃশ্যটি ধারণ করেন ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক জেলা শাখার সদস্যসচিব আলী হোসেন। ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পেয়ে সিকিউরিটি গার্ডসহ বেশ কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিটের চেষ্টা করেন তারা। পরে ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের দেন আলী হোসেন।
তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে গিয়েছিলাম চিকিৎসক দেখাতে। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখি চিকিৎসক নেই। তবে চিকিৎসকের পাশের চেয়ারে বসে একজন সিকিউরিটি গার্ড রোগী ও তাদের স্বজনদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি টোকেন লিখে দিচ্ছেন। বিষয়টি দেখে নিজের কাছেই খারাপ লাগে, পরে মোবাইল বের করে ভিডিও ধারণ করি। বিষয়টি তারা টের পেয়ে আমাকে ডিলিট করতে বেশ কয়েকজন আকড়ে ধরেন। তারা মোবাইল কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। পরে পরিচয় দিলে ছেড়ে দেন।’
এ ব্যাপারে সিকিউরিটি গার্ড তামিম হোসেন বলেছিলেন, ‘ঘটনার সময় ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার পাশের রুমে গিয়েছিলেন। এ সময় আমার এক বন্ধু রোগী নিয়ে আসেন। রোগী ভর্তি টিকিট পূরণ করে দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করলে নাম-ঠিকানা লিখে দিচ্ছিলাম।’