খাগড়াছড়ির সেই মারমা কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। জেলার সদর হাসপাতালের করা পরীক্ষার রিপোর্টে এই সংক্রান্ত ১০টি সূচকের সবগুলোতেই ‘নরমাল’ এসেছে।
হাসপাতালের গাইনোকলজিস্ট ডা. জয়া চাকমাসহ ৩ চিকিৎসকের স্বাক্ষরিত সেই রিপোর্ট যমুনা টেলিভিশনের হাতে এসেছে।
এর আগে মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ঘটনার রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা বলেন, সকল ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে ইউপিডিএফ জড়িত। পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির পেছনে তারা দায়ী।
এদিকে, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। এ বিষয়ে সকল প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অবরোধ তুলে নেয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হলে দ্রুত ১৪৪ ধারা তুলে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় মারমা স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজক একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এই ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে পরদিন থেকে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু হয়। এতে সাজেকে অবস্থান করা প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে আটকা পড়ে সাজেকগামী প্রায় হাজারখানেক পর্যটক। পরে শনিবার রাতে সেনা নিরাপত্তায় সাজেকে আটকে পড়াদের খাগড়াছড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, গত রোববার খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ৩ জন নিহত হন।
/আরএইচ