Swadhin News Logo
বুধবার , ৮ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে ২ ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে আছেন উপদেষ্টা

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ৮, ২০২৫ ১:১৬ অপরাহ্ণ
মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে ২ ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে আছেন উপদেষ্টা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় মহাসড়কের নাজুক অংশ পরিদর্শনে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা আশুগঞ্জ যানজটে আটকা পড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এর আগে মহাসড়ক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তিনি বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ভৈরবে আসেন। পরে সেখান থেকে সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পৌঁছান। সকাল সোয়া ১০টায় তিনি আশুগঞ্জ হোটেল উজানভাটি থেকে গাড়িবহর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এর মধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর, সোনারামপুর, সরাইলের বেড়তলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যানজট কবলে আটকে পড়েছিলেন।

এদিকে উপদেষ্টা আগমনকে কেন্দ্র করে, সকাল থেকেই তড়িঘড়ি করে সড়কটি মেরামত কাজ করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া মহাসড়কটি সচল রাখার স্বার্থে পুলিশ, সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ, আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কোনোভাবেই যানজট নিয়ন্ত্রণের আনতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে তড়িঘড়ি করে সড়কে বালু ফেলে ইট বিছানো হয়েছে কয়েক স্তরের। উঁচু করা হয় মূল মহাসড়ক থেকে ১৫ ইঞ্চি। ভরাট করা হয় ছোট বড় গর্ত।

তবে উপদেষ্টা আশার আগ মুহূর্তে সড়কে এমন অস্থায়ী কর্মযজ্ঞ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, উপদেষ্টা আসার এক মুহূর্তে সড়কে এমন আয়োজন খুবই দুঃখজনক। কারণ জনগণ গত এক বছর ধরে এই মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সড়কটি অস্থায়ী সংস্কারে খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকারও বেশি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একনেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়। গত ২০২০ সালে ৩টি প্যাকেজ কাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এরপর করোনা মহামারি, বালু সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কয়েক দফা পিছিয়ে যায় মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ। এর মধ্যে ২০২৫ সালে ৩১ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। সম্প্রতি আরও এক বছরের জন্য প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে ১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত