হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করে বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন সকালে নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান সরকার বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। রাতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—নবীগঞ্জ পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামের মামুন মিয়া (২৮), তার মা শাহেনা আক্তার (৫৪), বোন মেঘলা আক্তার (১৯) এবং সুহিলপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে জুবেদ মিয়া (২২)।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিবপাশা এলাকায় চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে হামলায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। তারা হলেন—নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন, কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম, শাহ ইমরান ও পল্টন চন্দ্র দাশ। তাদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শাহ ইমরানকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নবীগঞ্জ পৌরসভার শিবপাশা এলাকার মুফতি আবু ইউসুফের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় বাসা থেকে মোবাইলসহ বিভিন্ন আসবাব চুরি হয়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার। তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ জানতে পারে, মুফতি ইউসুফের চুরি হওয়া মোবাইলটি ব্যবহার করছেন নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুমন মিয়া। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় মোবাইলসহ রুমন মিয়াকে আটক করা হয়। তখন রুমন উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি তার বলে দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রুমনের ভাই মামুন মিয়া ও মাসহ কয়েকজন নারী ধারালো দেশি অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান বলে পুলিশের ভাষ্য। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।
রাতেই অভিযান চালিয়ে মামুনসহ চার জনকে আটক করা হয় বলে জানান নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বুধবার দুপুরে চার জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’