অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের লেক ইল্লাওয়ারা এলাকায় শেলহারবার বিমানবন্দরে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে শেলহারবার বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে উলংগং এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়ে জরুরি সেবাদাতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
লেক ইল্লাওয়ারা পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের কর্মকর্তারা জানান, ‘পাইপার চেরোকি ল্যান্স’ মডেলের একটি হালকা বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়।’
চিফ ইনস্পেক্টর অ্যারন ওয়ান্ডারলিচ বলেন, এটি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন বিমান, যা রাজ্যটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বাথার্স্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিমানটি রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করে প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতায় উঠতেই বাম দিকের ডানা নিচের দিকে ঝুঁকে রানওয়েতে আঘাত করে।’
বিমানটি মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় এবং এটিতে থাকা তিনজনই ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, বিমানটির মালিক নিজেও দুর্ঘটনার সময় বিমানে ছিলেন।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ নিউ সাউথ ওয়েলসের ইনস্পেক্টর অ্যান্ড্রু বারবার জানান, দুর্ঘটনার সময় স্থানীয় রুরাল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পর ১০ থেকে ১৫ জন আরএফএস স্বেচ্ছাসেবক দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাদের সঙ্গে বিমানবন্দরে অবস্থিত ‘হিস্টোরিক্যাল এয়ারক্রাফট রেস্টোরেশন সোসাইটি মিউজিয়াম’-এর কর্মীরাও উদ্ধারকাজে অংশ নেন।
ইনস্পেক্টর বারবার বলেন, ‘তারা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়, কিন্তু আগুন তীব্র হওয়ায় ভেতরের কেউই বাঁচার সুযোগ পাননি।’
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি)-এর প্রধান কমিশনার অ্যাঙ্গাস মিচেল সাংবাদিকদের জানান, বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মিচেল বলেন, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করতে এখনো সময় লাগবে। তদন্তকারীরা বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নথি, আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করবেন।
‘ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা পরিষ্কারভাবে বুঝতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে,’ তিনি যোগ করেন।
সূত্র: অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি)।
/এআই