বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আর কারও জন্য অপেক্ষায় নয়, কাল বিলম্ব নয়, এখন নির্বাচনের রাস্তায় উঠে গেছে গাড়ি। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টায় গাজীপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহর মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া দেশের কাঠামো পরিবর্তন করার জন্য বলেছিলেন। তারেক রহমানও ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন। আজকে সরকারের কাছ থেকে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তার সবগুলো বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে আছে। এসব দফার সঙ্গে আমরা একমত রয়েছি। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল ও লোকজন বলছে, বিএনপি সংস্কার মানে না। আরে বিএনপি তো সংস্কারের জন্মদাতা। সংস্কারের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। তিনি বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। পৃথিবীর সব দেশের নেতারা তাকে সম্মান করেন। আমরা সেই জন্যই তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন বলে আমরা আশা করছি। দেশের মানুষের দাবি অনুযায়ী কিছু সংস্কারকাজ করছেন। ছয়টা সংস্কার কমিশন করেছেন। কমিশনগুলো অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের আলোচনাও চলছে।’
আ স ম হান্নান শাহ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দল যখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছিল তখন তিনি সামনে এসে হাল ধরেছিলেন। বারবার জেলে গেছেন। একবার আমার সুযোগ হয়েছিল তার সঙ্গে জেলে যাওয়ার। ঢাকা জেল থেকে কাশিমপুর জেলে এসেছিলাম। তখন দেখেছি, তিনি কেমন দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। তিনি বিএনপি ও মানুষের ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। তার গুণের কথা কোনোদিন বলে শেষ করা যাবে না। জাতীয় নেতা ছিলেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি আমরা।’
গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্ব এবং কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল। আরও বক্তব্য রাখেন ড. এম এ কাইয়ুম, হুমায়ুন কবীর খান, বেনজীর আহমেদ টিটু, অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মজিবুর রহমান ও ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

















