অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের গুম-খুন নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই তথ্যচিত্রের শ্যুটিংয়ে সিলেটে এসেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার সকালের একটি ফ্লাইটে ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানে নেতাকর্মীরা বরণ করার পর সিলেটের তামাবিল সীমান্ত এলাকায় যান তিনি।
সীমান্তের যে পথ দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গুম করে ভারতে নেওয়া হয়, ওই পথের শ্যুটিংয়ে অংশ নেন তিনি। জানা যায়, ২০১৫ সালে এই সীমান্ত দিয়ে গুম করে তাকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ৬১ দিন নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, ওই এলাকায় চোখ বেঁধে ছেড়ে দেওয়ার সময় তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তামাবিল সীমান্তের কোনও একটা অংশ দিয়ে বর্ডার ক্রস করে আমাকে শিলংয়ে ফেলে যায় তারা।’
অন্য দেশে অনুপ্রবেশের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে প্রায় নয় বছর পর দেশে ফিরতে সক্ষম হন এই বিএনপি নেতা।
বিকালে হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন সালাহউদ্দিন। পরে শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করে সিলেট ত্যাগ করেন তিনি। হযরত শাহপরান (রহ)-এর মাজারে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও কেবল সিলেটে আসার উদ্দেশ্য ব্যতীত আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দেননি তিনি।
এদিকে, সালাহউদ্দিন আহমেদকে সিলেটে স্বাগত জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। নির্বাচনের মৌসুমে তার এই সফর স্থানীয় নেতাকর্মীদের কৌতূহলি করে তোলে। তবে দলীয় কোনও কর্মসূচি নেই বলে জানান তারা।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় কর্মসূচি নয়, ডকুমেন্টারি শুটিংয়ে অংশ নিতে তিনি সিলেট এসেছিলেন। কর্মসূচি শেষে তিনি ঢাকায় ফিরে যান।’