‘চট্টগ্রাম বন্দর ৪১ শতাংশ ট্যারিফ বাড়াবে কেন? অন্তর্বর্তী সরকারের এত জবাবদিহি নেই যে, বন্দরের ট্যারিফ বাড়াতে উঠেপড়ে লাগতে হবে! বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে হবে।’
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্বাভাবিক ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সমন্বয় সভায় চিটাগং চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
সভায় আমির হুমায়ুন মাহমুদ বলেন, ‘এবার বন্দরের নতুন ট্যারিফ সাধারণ মানুষকে দিতে হবে। দেশে ভালো ব্যবসায়ী আছে বলেই প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।বন্দর নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে তা খেলতে দেওয়া হবে না। বন্দরে চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে একজন প্রতিনিধিকে পরিচালক বানাতে হবে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, ‘বন্দরের মাশুল ব্যবসায়ীরা পেমেন্ট করবো না। এটা জনগণকে পেমেন্ট করতে হবে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে স্বাধীন পরিচালক আছে, বন্দরে নেই কেন? আমরা কারও গোলাম না। আমার টাকায় আপনারা চালান। ট্যারিফ বাড়ানো ষড়যন্ত্র। মোংলা, পায়রায় বাড়াননি।’
সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, ‘আরএমজি ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি দুটোই করেন। ভিয়েতনাম, ভারত ও মালয়েশিয়ার চেয়ে আমাদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেশি। ২৯ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতায় বন্দরকে লস করতে দেখিনি। তাহলে বন্দরে ৪১ শতাংশ ট্যারিফ কেন বাড়াতে হবে?’
সভায় বক্তব্য দেন– মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, বিজিপিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বেপজিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন– এশিয়ান গ্রুপের প্রধান এমএ সালাম। সঞ্চালনা করেন এসএম আবু তৈয়ব।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন– সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী।