উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনও অভিযোগ করেননি পদপ্রার্থীরা। কালি মুছে যাওয়াকেও বড় কোনও সমস্যা হিসেবে দেখছে না নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কালি মুছে গেলেও কোনও সমস্যা নেই। আমাদের ফোর্থ ডাইমেনশনাল (চার ধরনের) সিকিউরিটির ব্যবস্থা রয়েছে। কালি কোনও সিকিউরিটির মধ্যে পড়েই না। ওটা দিলেও যা, না দিলেও তা। ভোট দেওয়ার পর সাধারণত কালি লাগানোর একটা প্রচলন রয়েছে, এজন্য আমরাও এটা দিচ্ছি।’
রাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রাকসুর ২৩টি পদে প্রার্থী ৩০৫ জন, সিনেটে ৫টি ছাত্র প্রতিনিধি পদে প্রার্থী ৫৮ জন এবং ১৭টি হল সংসদে ২৫৫টি পদে প্রার্থী ৫৫৫ জন। মোট প্রার্থী ৮৬০ জন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটারের জন্য ২৮ হাজার ৯০১টি ব্যালট পেপারই ছাপানো হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে নারী ভোটার ৩৯.১ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটার ৬০.৯ শতাংশ।
ভোটগ্রহণ পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। মোট ২১২ জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন, যার মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার। এ ছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তুতের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।