রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকাল ৪টার পরে।
ভোটগ্রহণ শেষে কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট বাক্সগুলো কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নেওয়া হয়েছে। ফলাফলের সব কাজ সম্পন্ন হতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোর সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তাদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। বিকাল ৪টার সময়ই কেন্দ্রগুলোর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, সময় শেষ হওয়ার পরও ৪টার আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। তবে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, কমিউনিটি পুলিশ, রেঞ্জার্স সদস্যরা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
রাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখন সব কেন্দ্রের ব্যালট পেপার নিয়ে আসা হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ভিন্ন ভিন্ন বাক্সের ব্যালট বের করে ১০০টি করে আলাদা আলাদা বান্ডেল করা হবে। প্রতিটি বান্ডেল ওএমআর মেশিনে দিয়ে গণনা করা হবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ প্যানেল আধুনিক এ ফলাফল পর্যবেক্ষণ করবেন। সর্বমোট তিনটি ধাপে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি হবে। এভাবে একটি হলের ফলাফল তৈরি হলে অন্য হলেরটা শুরু হবে। সব ফলাফলের কাজ সম্পন্ন হতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
রাকসুর ২৩টি পদে প্রার্থী ৩০৫ জন, সিনেটে ৫টি ছাত্র প্রতিনিধি পদে প্রার্থী ৫৮ জন ও ১৭টি হল সংসদে ২৫৫টি পদে প্রার্থী ৫৫৫ জন। মোট প্রার্থী ৮৬০ জন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটারের জন্য ২৮ হাজার ৯০১টি ব্যালট পেপারই ছাপানো হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে নারী ভোটার ৩৯.১ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটার ৬০.৯ শতাংশ।
ভোটগ্রহণ পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। মোট ২১২ জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন, যার মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার। এ ছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তুতের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।