গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বানার নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার করার সময় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক নারী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়ের বানার নদীর খিরাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিপি আক্তার (৪০) ও একই গ্রামের আসিম উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার (৪২)। এ ঘটনায় একই গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী বিনা আক্তারকে উদ্ধার করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ভারী বর্ষণে খিরাটি গ্রাম সংলগ্ন বানার নদীতে কচুরিপানা জমে পানিপ্রবাহ কমে যায়। এতে স্থানীয় লোকজনের পানি ব্যবহার ও গোসলে অসুবিধা হচ্ছিল। স্থানীয় পাঁচ জন নারী ও ১০ জন পুরুষের দুটি দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ওই কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। রবিবার সকালে থেকে তারা কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করেন। কচুরিপানা পরিষ্কারের পর পানির স্রোত সৃষ্টি হয়। ওই স্রোতে তিন নারী ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা লিপি আক্তারকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী নদীতে নিখোঁজ বিলকিস আক্তারের লাশ পাঁচ ঘণ্টা পর বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধার করেন।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিলকিস আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছিল। এর আগে স্থানীয়রা লিপি আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করের। এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব বলেন, ‘কোনও অভিযোগ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

















