Swadhin News Logo
সোমবার , ২০ অক্টোবর ২০২৫ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

ধুনটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেড় হাজার মিটার নষ্ট, গ্রাহকদের দুর্ভোগ

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ২০, ২০২৫ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
ধুনটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেড় হাজার মিটার নষ্ট, গ্রাহকদের দুর্ভোগ

বগুড়ার ধুনটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেড় হাজার মিটার নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সমিতির রিডাররা ইচ্ছামতো রিডিং প্রদর্শন করায় গ্রাহকদের বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। একদিকে মিটার নষ্ট, অন্যদিকে সংকটের কারণে গ্রাহকদের দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এ ব্যাপারে সমিতির সংশ্লিষ্ট সবার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধুনট জোনাল অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় আবাসিক ও সেচ শিল্প মিলে প্রায় ৯৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা অনুসারে মিটারের সরবরাহ না থাকায় নতুন সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার বর্তমানে দেড় হাজার মিটার নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও লাভ হচ্ছে না। তারা বলছেন, যা সরবরাহ মিলছে তা দিয়ে গ্রাহকের মিটার পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক সংযোগের মিটার বিকল থাকায় রিডাররা ইচ্ছামতো তথ্য দেন। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গড় বিল করেন। এভাবে গ্রাহকরা মাসের পর মাস গড় বিলের ফাঁদে পড়েছেন। আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইচ্ছামতো বেশি বিল করে গ্রাহকের পকেট কাটছে। নতুন সংযোগের জন্য কয়েক শ আবেদন জমা থাকলেও মিটার সংকটের কারণে সমিতি সংযোগ দিতে পারছে না।

তারা আরও অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রাহকরা প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রাহকদের বাগবিতণ্ডাও হচ্ছে। অফিসের কর্মকর্তারা শুধু তাদের লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না।

ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের খাদুলী গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক মুসলিম উদ্দিন জানান, এবার আগের তুলনায় বেশি বিল আসায় তিনি সমিতির অফিসে যান। সেখানে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, অফিসে মিটার নেই; পরবর্তী সময়ে গড় বিল করা হবে। পাঁচথুপি গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে মিটারের সমস্যা। অফিসে ঘুরে লাভ হচ্ছে না। সেখানে গেলে কর্মকর্তারা জানান, সরবরাহ এলে মিটার বদলে দেওয়া হবে। এখন তাদের ইচ্ছামতো করা বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন। গোপালনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বাড়ির দুটি মিটারই নষ্ট। অফিসে গেলে কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখান। ফলে এখন আগের চেয়ে দ্বিগুণ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এসব সমস্যা ও অভিযোগ প্রসঙ্গে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধুনট জোনাল অফিসে ডিজিএম কামাল পাশা বলেন, চাহিদামতো মিটার সরবরাহ না থাকায় সংকট বাড়ছে। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অভিযোগ আসছে। মিটার সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক