নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শিশু (১২) ধর্ষণের অভিযোগে রুহুল আমিন (৪১) নামে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত ও কারাগারে পাঠানো রুহুল আমিন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার শেখ সাদীর ছেলে এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রুপালি আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রাজধানীর কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কাঁদছিল ভুক্তভোগী শিশুটি। সে সময় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন কনস্টেবল রুহুল আমিন। তিনি শিশুটিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রুপালি এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। পরে শিশুটিকে নিয়ে আবার ঢাকার দিকে ফেরার পথে চাষাঢ়ায় শিশুটি কান্নাকাটি করলে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে বন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী শিশুটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গতকাল রাতে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে আটক করে সদর থানা পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে ধর্ষণ মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

















