শেরপুর সদর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামির গণসংযোগ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত। এতে জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শেরপুর সদর হাসপাতালে দুজন ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে একজন হলেন জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং সদর উপজেলার কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম স্বপন। আরেকজন শেরপুর পৌরসভার ওয়ার্ড সভাপতি রাকিব।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শেরপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামি মনোনীত প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজ শেষে গণসংযোগ করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর অবস্থায় দুজন শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে শহর সেক্রেটারি ডা. হাসানুজ্জামান প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। না হলে আমার ওপর হামলা হতো। অল্পের জন্য বেঁচে ফিরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৪ শতাধিক লোক ছিলাম তাদের ১০/১২ জনের সামনে। আমরা কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম। যদি গতানুগতিক কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হতাম। জামায়াত ইসলামি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কোনোভাবেই যেন কোনও ভায়োলেন্স তৈরি না হয় এ ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। বিষয়টি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন।
এদিকে জামায়াতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুর জেলা ছাত্রদল শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। এরপর রাত ১০টায় শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এ সময় শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম হামলার ঘটনাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, তারা (জামায়াত) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তিন চারটি মসজিদে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। পরে এলাকায় মিছিল করে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। বাধার সম্মুখীন হয়ে তারা এলাকা থেকে চলে যায়। আমাদের কোনও নেতাকর্মী যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে আমরা দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, জামায়াত নেতারা ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানালেও এখনও লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

















