চট্টগ্রাম রিজিয়ন এলাকার ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তে নিরাপত্তা, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পরিচালিত বিভিন্ন অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। এ সময় চট্টগ্রাম রিজিয়ন ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক, ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা সিজার মূল্যের অবৈধ চোরাচালানের মালামাল জব্দ করেছে। পাশাপাশি ৩টি রাইফেল, ৫টি পিস্তল, আধা কেজি গান পাউডার এবং ৩৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
চট্টগ্রাম রিজিয়নের আওতাধীন খাগড়াছড়ির যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিদ ইবনে হোসেন।
তিনি জানান, বিজিবির চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল।
এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজি আটক করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে, পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে বিজিবির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
জোন কমান্ডার আরও বলেন, ‘চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা যেকোনোভাবে প্রতিহত করতে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়; এটি জাতীয় স্বার্থের অংশ। তাই স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা সম্প্রীতি রক্ষায়ও কাজ করছি।’
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম রিজিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকায় মাদক, অস্ত্র ও গবাদিপশু পাচার রোধে গত কয়েক মাসে একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ২৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক আবুল লেইচসহ বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিদ ইবনে হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও কাজ করছি। বিজিবির এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

















