গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর রনি হাসান হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফাহাদ সরকার টুটুলকে (৩১) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। রবিবার (২ নভেম্বর) র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া) পারভেজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মেট্রো সদর থানাধীন মনুরখোলা এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ভিকটিম রনি হাসান পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন খাঁর ছেলে। তিনি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
গ্রেফতার ফাহাদ সরকার টুটুল গাজীপুর সদর থানার হাড়ীনাল এলাকার বাশির সরকারের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিল। আসামির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল, একটি চাইনিজ ফোল্ডিং নাইফ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আসামিকে সদর মেট্রো থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া ভারপ্রাপ্ত) পারভেজ রানা জানান, ভিকটিমকে হত্যা করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে অজ্ঞাত আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভিকটিমের স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩৯) এবং তার পরিবারের সদস্যরা ওই হাসপাতালে গিয়ে ওই মরদেহ রনির বলে শনাক্ত করেন। তারা ধারণা করেন (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনও এক সময় রনিকে হত্যা করা হয়। মামলার বাদী ভিকটিমের স্ত্রী জানান, ভিকটিমের পিঠে, ঘাড়ে এবং দুই পায়ের উরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে হত্যার রহস্য ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী সাবিনা আক্তার গাজীপুর মেট্রো সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি আমলে নিয়ে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। ক্লুলেস এ মামলার আসামি ফাহাদ সরকার টুটুলকে গাজীপুর সদর থানাধীন মনুরখোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফাহাদ সরকার টুটুল হত্যায় সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং আর্থিক লেনদেনের বিরোধের জেরে রনিকে হত্যা করা হয়। পরে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর জন্য মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে সে এবং তার সহযোগী আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
















