Swadhin News Logo
মঙ্গলবার , ৪ নভেম্বর ২০২৫ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

কোনও ছাড় দেবো না, আমি ভোট করবো: বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নিজান

প্রতিবেদক
Nirob
নভেম্বর ৪, ২০২৫ ৭:২৫ অপরাহ্ণ
কোনও ছাড় দেবো না, আমি ভোট করবো: বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নিজান

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য সোমবার (৩ নভেম্বর) ২৩৭টি আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৬৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এগুলোর ৪০টি শরিকদের দেবে এবং বাকি ২৩ আসনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনের রায়পুর (লক্ষ্মীপুর-২) ও সদর (লক্ষ্মীপুর-৩) আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) ও লক্ষ্মীপুর-৪ (কমলনগর ও রামগতি) আসন জোটসঙ্গীদের জন্য কিংবা পরবর্তী বিবেচনার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে সমর্থন পেতে পারেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সাহাদাত হোসেন সেলিম কিংবা তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে লড়তে পারেন জোটসঙ্গী জেএসডির আ স ম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব। আ স ম আবদুর রব অসুস্থ হওয়ায় তার পরিবর্তে তার স্ত্রী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হতে পারেন।

অন্যদিকে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন দলের সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও দুইবারের (২০০১ ও ২০০৮) সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি অনেক আগে থেকেই ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন বিথীকা বিনতে হোসাইন, তিনি প্রয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী।

সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর আশরাফ উদ্দিন নিজানের নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় রামগতি-কমলনগরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন।

জানা গেছে, দলের পক্ষ থেকে যদি এই আসনে আশরাফ উদ্দিন নিজানকে মনোনয়ন না-ও দেয়, তিনি এই আসনে লড়বেন। সম্প্রতি তিনি মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপ্রত্যাশী আশরাফ উদ্দিন নিজান রামগতি-কমলনগরের বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উঠান বৈঠক করছেন। ধানের শীষের পক্ষে তার নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন বাজার-ঘাটে তিনি গণসংযোগও করছেন।

এ বিষয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ‘দল আমাকেই এই আসনে নির্বাচন করার জন্য মনস্থির করে রেখেছে। আর আমি এই আসনে তিনবার ভোট করেছি, জয়লাভও করেছি। রব সাহেবের সঙ্গেও তিনবার ভোট করেছি। ৯ম সংসদে জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই আসনে আবদুর রব সাহেবও ভোট করেছেন। উনারা আমার বাবার মতো, উনাদের সঙ্গেও ভোট করেছি। মেজর মান্নানের সঙ্গেও ভোট করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের নেতাকর্মীরা ডিসাইডেড, উনার (রব) তো এখানে কোনও নেতা কর্মীও নাই। এখন উনার ভোট করবে কে? আমি জানি না। তিনি নিজেও অসুস্থ মানুষ। হয়তো জোটের কারণে খালি রেখেছে কি না- পরে সিদ্ধান্ত দেবে কি না। যেহেতু উনারা একটা দাবি করছে। আমি জানি না।’

নিজান বলেন, কিন্তু আমরা ইলেকশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমি এখনও গ্রামে। আমি আজকে ১৪ মাস ১৬২ ওয়ার্ডে ধরে ধরে মহিলাদেরকে নিয়ে সভা করতেছি। এখনও আমি উঠান বৈঠক থেকে আসছি। উই আর ডিসাইডেড, আওয়ার পিপলস ডিসাইডেড, নেতাকর্মীরা ডিসাইডেড, যখন দেয় নাই নেতাকর্মীরা তো অসম্ভব বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। আমরা ভোট করবো, ডিসাইডেড। পার্টি আমাদেরকে দেয় নাই, হয়তো টেকনিক্যাল সমস্যায় আছে। সেজন্য ডিলে করতেছে।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ১৭ বছর আমার রামগতির ১৩ হাজার নেতাকর্মী জেলে গেছে। আমার চার জন নেতাকর্মী মারা গেছে। ১৭ বছর আমি পথে-পান্থরে ছিলাম, আমি নিজে জেল খেটেছি। আমরা কোনও ছাড় দেব না। আমি ছাড়লেও আমার নেতাকর্মীরা ছাড়বে না। তারা যে সিরিয়াস আমি যদি না-ও দাঁড়াই একজন দাঁড়াই যাবে। বিএনপির ভোট তারা (রব) কোনও দিন আশা করতে পারে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ‘রামগতি-কমলনগর-রামগতি পৌরসভায় আমার সাংগঠনিক নেতাকর্মী হলো ৪৪ হাজার। উনাকে (তানিয়া রব) ধানের শীষ প্রতীক দিলেও আমার নেতাকর্মীরা তার ভোট করবে না। আরও দুই বছর আগ থেকেই আমার নেতাকর্মীরা ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। বিএনপির আমি ছাড়াও আমার দলের আরও ৫ জন নেতা আছে, যারা ভোট করার যোগ্য এবং উইন করার উপযুক্ত। কেউ ছাড়বে না।’

সবশেষ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমার এখানে মহিলা দলসহ ৪৪ হাজার সাংগঠনিক নেতা কর্মী রয়েছে। আমি মানলেও তারা মানবে না। আমি ভোট করবো। আমি ছেড়ে দিলেও আমার নেতাকর্মী ছাড়বে না। এখানে ইলেকশন হবে। এখন আমাকে বন্দি করে আটকে রাখতে পারে, আরেকজন দাঁড়িয়ে যাবে।’

বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিথীকা বিনতে হোসাইন বিথী বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই বলেছেন, যারা অ্যালায়েন্স করেছিলেন তাদেরকে নিয়েই জাতীয় সরকার গঠন করবেন। সেখানে যদি জোট হয় সে জায়গা থেকে হয়তো এ আসনটা ফাঁকা রেখেছেন। পার্টি বিবেচনা করছে, হয়তো ভবিষ্যতে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে নমিনেশন দেয়, তাহলে আমি ভোট করবো। তবে দলের বাইরে গিয়ে নিজের একক সিদ্ধান্তে ভোট করবো না। দলের বাইরে গিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবো না।’

প্রার্থিতার বিষয়ে জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক