গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করিনি। আগামীতে আমরা যাদের সঙ্গে জোট করবো, তারা সরকারে গঠন করলে সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে কী ভাবছে, দেশ পরিবর্তনে তাদের অবস্থান কী, চাঁদাবাজ, দখলদার, ভূমিদস্যু মাফিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কী- এই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবো আমরা কোন দলের সঙ্গে জোট করবো কি না।’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীকে জয় লাভ করানোর প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের বেশ কিছু প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে, তার মধ্যে এই নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি আসনের প্রার্থী রয়েছে। বাকি আসনে দ্রুত আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের চারটি আসনে আমাদের সম্ভাবনাময় প্রার্থী আছে, তাদের মধ্যে একজন প্রার্থীকে জয় লাভ করানো সম্ভব।’
তরুণদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের তরুণদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরকে স্বপ্ন দেখতে হবে। তারা অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের পেছনে ছুটবে নাকি নিজেরাই সমাজ এবং রাষ্ট্রের পরিবর্তন করার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাবে।’
সাহসী তরুণদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী এবং সাহসী তরুণ রয়েছে যারা শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গণঅধিকার পরিষদ-ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে মিছিল করেছে। হাসিনার পতনের জন্য লড়াই করেছে, রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছে। কাজেই এ সমস্ত তরুণদের যদি নারায়ণগঞ্জের মানুষ সমর্থন করে, তারা ভবিষ্যতে কেউ কাউন্সিলর হবে, কেউ এমপি হবে। আশা করি, আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের একজন মেয়র ক্যান্ডিডেট থাকবে।’
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কলকারখানা ও শিল্পমালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন চাঁদা নিতো। এখনও কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার, কিন্তু কেউ সেটি দিতে চায় না। কারণ, সবাই ভোটকেন্দ্র দখল ও গুন্ডামি-মাস্তানির জন্য তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।’
এ সময় যুব অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি শেখ সাব্বিরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রাজসহ প্রমুখ।

















