Swadhin News Logo
মঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০২৫ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

পরকীয়া দেখে ফেলায় প্রতিবেশীর শিশুসন্তানকে হত্যা

প্রতিবেদক
Nirob
নভেম্বর ১১, ২০২৫ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ
পরকীয়া দেখে ফেলায় প্রতিবেশীর শিশুসন্তানকে হত্যা

নিখোঁজের তিন দিন পর গাজীপুরের শ্রীপুরে বিল থেকে শিশু আনাস খানের (৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আনাসদের বাসার গৃহপরিচারিকা শাহিনুর বেগম ওরফে হাসিনার সঙ্গে প্রতিবেশী মোমেন খাঁয়ের পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় তাকে চোখ উপড়ে হত্যা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় পুলিশ। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম। এর আগে এ ঘটনায় শাহিনুর বেগম (৩০) ও তার স্বামী নজরুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রাজবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া গ্রামের বাঙ্গালপাড়া বিলের কচুরিপানার ভেতর থেকে আনাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। আনাস চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিন ও লিজা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে নার্সারি শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। 

মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে শাহিনুর বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তার প্রেমিক হত্যার মূলহোতা মোমেন খাঁ একই গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। 

শাহিনুর বেগমের বরাতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‌‘আনাসদের বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে শাহিনুর দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এ সুবাদে শাহিনুরের শিশুসন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে আনাসের। প্রায়ই দুই শিশু একসঙ্গে খেলাধুলা করতো। গত শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বাইসাইকেল নিয়ে শাহিনুরের ছেলের (৫) সঙ্গে খেলার জন্য তাদের বাড়িতে যায় আনাস। কিছুক্ষণ পর দাদি উম্মে কুলসুম তাকে খুঁজতে ওই বাড়িতে যান। শাহিনুর জানান আনাস তাদের বাড়িতে সাইকেল রেখে চলে গেছে। এরপর বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও সন্ধান পায়নি পরিবার। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিশুর দাদা হাসেন আলী খান।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘জিডির পর শিশুটিকে উদ্ধারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শুরু করে। সন্দেহভাজন হিসেবে শাহিনুর এবং তার স্বামী নজরুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে শাহিনুর জানান পাশের বাড়ির মোমেনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল তার। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে স্বামী নজরুল কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যান। এ সুযোগে মোমেন সকাল ৮টার দিকে শাহিনুরের ঘরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। সকাল সোয়া ৮টার দিকে আনাস তাদের বাড়ির উঠানে সাইকেল রেখে শাহিনুরের ছেলেকে খুঁজতে ঘরে ঢুকলে মোমেন ও শাহিনুরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। তখন মোমেন আনাসের গলা টিপে ধরে খাটের নিচ থেকে কাঁচি নিয়ে ডান চোখে ঢুকিয়ে দিলে সেখানেই মৃত্যু হয়। শেষে লাশ কোলে নিয়ে বাড়ির উত্তর পাশের বাঙ্গালপাড়া বিলে ফেলে দেন। এ সুযোগে আনাসের সাইকেল বাড়ির পাশের রাস্তায় রেখে হত্যায় ব্যবহৃত কাঁচি ধুয়ে রান্নাঘরের চালে রেখে দেন শাহিনুর। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিল থেকে লাশ উদ্ধার এবং রান্নাঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কাঁচিটি উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।’ 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শাহিনুরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক মোমেনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে শাহিনুরের স্বামী নজরুল পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। হত্যায় এখনও তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত