বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণের সময় বাংলাদেশি ২৯ জন জেলে-মাঝিসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বঙ্গোপসাগরে ঘন কুয়াশার পথ হারিয়ে ট্রলারটি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানকালীন তাদের ধরে নিয়ে যায়।
ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলাটির নাম ‘আমেনা গণি’। এটি চট্টগ্রাম নগরের ফিশারি ঘাটের। ট্রলারের মালিক সৈয়দ নূর জানিয়েছেন, মহেশখালীর ধলঘাট এলাকা থেকে ১২ নভেম্বর সকাল ১০টায় ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। সেখানে দুজন মাঝি ও চালকসহ ২৯ জন ছিলেন। মাঝিরা আমাদের ফোন করে জানিয়েছেন ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করেছে। আমরা বিষয়টি সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। সবশেষ খবর পেয়েছি, ট্রলার ও আটককৃতরা ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনা কোস্টাল থানা হেফাজতে রয়েছে। তবে কী কারণে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সৈয়দ নূর।
আটককৃতরা হলেন- মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, তার ভাই আবু বক্কর, ফেরদৌস, সায়েদ আলী, বখতিয়ার আলম, শহিদুল্লাহ, আবু ছৈয়দ নূরী, সাইফুল ইসলাম, তাহসীন, সাহাব উদ্দিন, তারেকুল ইসলাম, মিন্নাতুল, মোহাম্মদ তারেক, ফুতু আলম, সাজ্জাদ, নেছার আহমদ, সালমান, জসিম উদ্দিন, কালু মিয়া, মিজান, আরাফাত, হারুন, মিঠু, হাসান, পারভেজ ও তৌহিদ। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীতে।
নেছার আহমদের স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, ‘গতাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন তারা ঘন কুয়াশায় পড়ে পথ ভুলে গেছেন। রাত ৯টা থেকে ফোন দিয়ে তার ফোনের সংযোগ পাইনি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সমুদ্র মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ওসব জেলে ও মাঝির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’
















