গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা ও তার স্বামীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে র্যাব। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে বলে রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন গাজীপুর র্যাব-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাকিব হাসান।
শনিবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার আলগী এলাকা থেকে এক যুবক (২২) ও বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দেপাড়াবাজার এলাকা থেকে আরেকজনকে (২০) আটক করা হয়। তারা হত্যাকাণ্ডের পর গাজীপুর থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছে র্যাব। এর আগে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কোনাবাড়ী থানার বাইমাইল এলাকার ভাড়া বাসায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন গৃহবধূ রহিমা খাতুন (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী।
র্যাব কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ‘ইমরান তার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে নিয়ে বাইমাইলে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ঘরে ঢুকে রহিমাকে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় ইমরানকে গলা কেটে জখম করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ইমরানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রহিমার লাশ ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রহিমার ভাই আব্দুর রহিম কোনাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। তারা ঘটনায় জড়িত কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
















